নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ে হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে, রয়েছে ১১ মাসের এক ছেলে সন্তান। কিন্তু স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে ছেলেকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নারী। নিজেকে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করলে উল্টো ওই নারীর বিরুদ্ধেই তার স্বামী করেছে দুটি মামলা। এতদিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় তার দাপট দেখিয়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখালেও এখন মামলার ভয় দেখাচ্ছে স্বামী।
এমন অবস্থায় নিজেকে স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী সারাবান তোহরা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জেলার বাতেন খাঁর মোড়স্থ একটি অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন করেন শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামের আবু বাক্কারের মেয়ে সারাবান তোহরা।
সংবাদ সম্মেলনে সারাবান তোহরার দাবি, সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে একের পর এক তিনটি বিয়ে করেছেন সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরহাট হাজীপাড়া গ্রামের ফিরোজ কবিরের ছেলে ইমরোজ আহমেদ সারুফ। বিয়ের পর ভালোভাবেই সংসার চলছিল সারাবন ও ইমরোজের। কিন্তু ৪ মাসের সন্তান থাকা অবস্থায় স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গেলেই অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করেন ইমরোজ। উল্টো দিতে থাকে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি।
পরিচয় সনাক্তে প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রথম বউকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল ইমরোজ আহমেদ সারুফ। একইভাবে এক মেয়েসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে রেখে আমাকে বিয়ে করে। সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদের সাপটে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নানারকম অপকর্মে করে বেড়াতো সারুফ।
সারাবান তোহরার বাবা আবু বাক্কার বলেন, আমাকে যখন মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয় ইমরোজ আহমেদ সারুফ, তখন তাকে না করে দেয়। কিন্তু নানারকম কায়দা কানুন করে মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে মেয়েকে। বিয়ের পর দফায় দফায় কাবিননামা তৈরির কথা বলতে গেলেই মেয়েকে মারধর ও নির্যাতন করা হতো। আমাকে তুলে নিয়ে এসে হত্যা করে মহানন্দা ব্রীজের নিচে মরদেহ ফেলে দেয়ার হুমকি দেয় জামাই ইমরোজ আহমেদ সারুফ। স্ত্রী ও সন্তানের দাবিতপ আদালতে মামলা করতে গেলে উল্টো আমাদের নামেই দুটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে।
এ নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ইমরোজ আহমেদ সারুজের দুটি ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়৷ তার বাবার সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সারাবান তোহরার ১১ মাসের ছেলের জন্ম নিবন্ধন ও টিকা কার্ডেও বাবার পরিচয় হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ইমরোজের নাম।
এসএমকে
Leave a Reply